নুর মোহাম্মদ সুমন, নীলফামারী প্রতিনিধি
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী স্বামীর একমাত্র কর্মক্ষম ব্যক্তি হল তার স্ত্রী। সে স্ত্রীরও পুকুরে পরে মৃত্যু হল। এমন এক করুন দৃশ্যর অবতরন হয়েছে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ৭নং খালিশা চাপানী ইউনিয়নের ছোটখাতা ২নং ওয়ার্ড দৃষ্টি প্রতিবন্ধী রমজান আলীর বাড়ীতে।
৬ এপ্রিল সকাল ৬ টায় রমজান আলীর স্ত্রী নিলুফা বেগম ওরফে কাসাবি (৪৫)। এক মেয়ে দুই ছেলের জীনন তিনি। বাড়ীর উত্তর প্বার্শে পুকুর থেকে পানি তুলে সবজি বাগানে সেজ দিতে গিয়ে মারা যায় ইন্না লিল্লাহী ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন।
কাসাবির স্বামী রমজান আলী জানায়, আমার স্ত্রী ফজরের নামায পড়ার পর, পরের বাড়ীতে কাজ করতে যায়। তার কর্মেই আমাদের সংসার চলে। তারই ধারাবাহিতায় সে প্রতিদিনের ন্যায় আজোও কাজ করতে যাবে মর্মে আমাকে বলে শাক বাড়িতে পানি দিয়ে কাজে যাবো। আমি তখন বিছানায় ছিলাম। টয়লেটে যাওয়া পানির পাত্রের জন্য কাসাবি কাসাবি বলে ডাক দিলে তার কোনো সারা পাওয়া যাচ্ছিলো না।
এরপর আমি জোরে ডাকাডাকি করলে তখন এলাকাবাসী এসে খুজা খুজি করে দেখে পুকুরে তার সেন্ডেল ভেসে বেরাচ্ছে। এরপর জাল দিয়ে পুকুরে ছাব দিলে তার গায়ের চাদর পাওয়া যায়। পরে স্থানীয় লোকজন পুকুরে ডুবে তাকে মৃত্য অবস্থায়ি খুজে পায়।
এব্যাপার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান সরকার বলেন, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী রমজান আলীর স্ত্রী তিনিই ছিলেন পরিবারের একমাত্র রুজি রোজগারের ভরসা, আজ তিনি আর নেই। তবে আমি তার মৃত্যুতে শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই এবং আমার পরিষদের পক্ষ থেকে যতটুকু পারি সাহায্য করব।