মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে সুলতানা আক্তার নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। তবে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ দাবি করে জামাইয়ের বাড়িঘর ভাঙচুর চালিয়েছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন।শুক্রবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সুলতানা গজারিয়া উপজেলার চর বাউশিয়া বড়কান্দি গ্রামের মিছির আলীর মেয়ে। এ ঘটনায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী ওয়াজকুরুনী মোল্লাকে আটক করেছে পুলিশ।প্রত্যক্ষদর্শী শরীফ মিয়া, মানছুরা বেগম ও ফাহিমা আক্তার জানান, সুলতানার স্বামী ওয়াজকুরুনী মোল্লা পেশায় একজন মুদি দোকানি। দুপুর দেড়টার দিকে রান্নাবান্না শেষে শ্বশুরের মাধ্যমে দোকানে স্বামীর জন্য খাবার পাঠিয়ে গোসল করতে মোটরে পানি তুলতে যান সুলতানা। পানির ট্যাংক উপচে পানি পড়তে থাকলে পাশের বাড়ির লোকজন তাকে ডাকতে গিয়ে দেখেন মাটিতে পড়ে আছেন। পরে সুলতানাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।এদিকে, সুলতানার মৃত্যুর খবরে জামাই ওয়াজকুরুনী মোল্লার বাড়িঘর ভাঙচুর চালান শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এ সময় তারা আলমারি, ফ্রিজ, শোকেসসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন।নিহতের বাবা মিসির আলী ও মা শাহনাজ বেগম বলেন, চার বছর আগে পারিবারিকভাবে উপজেলার মধ্য ভাটেরচর গ্রামের মফিজের মোল্লার ছেলে ওয়াজকুরুনী মোল্লার সঙ্গে সুলতানার বিয়ে হয়। তাদের সংসারে দুই বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমাদের মেয়েকে মারধর করতেন ওয়াজকুরুনী। এ নিয়ে একাধিকবার সালিশও হয়েছে। আমাদের মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে অপমৃত্যু বলে চালিয়ে দেয়া হচ্ছে। ঘটনার সময় বাড়ি ফাঁকা পেয়ে সুলতানাকে হত্যা করেন ওয়াজকুরুনী।নিহতের স্বামী ওয়াজকুরুনী বলেন, আমার মেয়েকে নিয়ে একটি বিয়ের দাওয়াতে যান মা। আর বাবা দোকানে আমাকে খাবার দিতে যান। শ্বশুরবাড়ির লোকজনের অভিযোগ ভিত্তিহীন।গজারিয়া থানার ওসি (তদন্ত) তানভির হাসান জানান, নিহতের স্বজনদের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওয়াজকুরুনী মোল্লাকে আটক করা হয়েছে। লাশ পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।