নওগাঁর মান্দা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শায়লা শারমিনের বিরুদ্ধে একটি সংঘবদ্ধ চক্রের নানামূখী অপপ্রচারে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। স্থানীয় কৃষক আব্দুর রহমানসহ অনেকে জানান, কৃষি ক্ষেত্রে নওগাঁর মান্দা উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের ইতিবাচক ভূমিকা আমাদেরকে যথেষ্ট অনুপ্রাণিত করে। গত কয়েক বছর ধরে এ উপজেলায় উচ্চ শিক্ষিত তরুণ-তরুণীরা চাকরির পেছনে না ছুঁটে কৃষিকাজে মনোযোগী হচ্ছেন।অনেকেই জমি বন্দোবস্ত নিয়ে আধুনিক চাষাবাদ শুরু করেছেন।

এখানকার কৃষকের উৎপাদিত নিত্য নতুন ফসল-ফল ও সফলতার কাহিনী সাংবাদিকদের মাধ্যমে বিশ্ববাসী প্রতিনিয়ত জানতে পারছে। কিন্তু উদ্বেগের বিষয় হলো যে, এ উপজেলায় এক শ্রেণীর সুবিধাবাদী ধান্দাবাজ সাংবাদিকতা পেশায় নাম লিখিয়ে এ পেশাকে কলুষিত করছে। ওই চক্রের সদস্যদের কাজই হচ্ছে বিভিন্ন দপ্তরে গিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে আর্থিক সুবিধা আদায় করা। প্রভাবশালীদের পক্ষ নিয়ে নিরীহ মানুষের নামে মনগড়া খবর লিখে সামাজিকভাবে হেয় করা স্বাভাবিক ঘটনা।

তারই ধারাবাহিকতায় সুবিধাভোগী চক্রটি তাদের স্বার্থে ব্যাঘাত ঘটায় তারা মান্দা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শায়লা শারমিনের পেছনে উঠেপড়ে লেগেছে। তাদের দাবি যে,কৃষি পেশার সঙ্গে জড়িতদের অনেকেই এখনও চাষাভূষা মনে করেন।

এখন দিন বদলে গেছে। অন্তত ভালো মন্দ চেনার সক্ষমতা আমাদের আছে। মান্দা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শায়লা শারমিন কর্মদক্ষতায় অনেক যোগ্য। তিনি কৃষকদের ন্যায্য দামে সার পাওয়া নিশ্চিত, কৃষকদেরকে সংগঠিত, উচ্চ মূল্যের ফসল আবাদ ও সম্প্রসারণ, কার্যালয়ের সেবা সহজ ও মানোন্নয়ন, সরকারি প্রণোদনা ও সাহায্য স্বচ্ছতার সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে বিতরণ করে আসছেন। তার মতো সৎ ও যোগ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের কারনে এ উপজেলায় কৃষি কাজ ব্যাহত হচ্ছে।

এব্যাপারে মান্দা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শায়লা শারমিন বলেন, প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকদের জন্য এতো ভালো ভালো কাজ করার পরেও একটি সংঘবদ্ধ চক্র নানামূখী অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন । তাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে ই তাদের এই মিথ্যাচার। এসব মনগড়া তথ্য দিয়ে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভীত্তিহীন সংবাদের তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানান তিনি।