শাহেদ বাবু/ ব্যুরো চিফ বগুড়া
বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহারে ফাইমা বেগম (২৮) নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। বুধবার দুপুরে পৌর এলাকার ইয়ার্ড কলোনী মহল্লায় নিজ শয়নকক্ষ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এঘটনায় তার স্বামী পলাতক রয়েছে। নিহতের পরিবার ও পুলিশ জানায়, গত দুই বছর আগে সান্তাহার ইয়ার্ড কলোনীর মৃত আইনাল হকের মেয়ে ফাইমার সাথে সাইফুল ইসলামের বিয়ে হয়। ফাইমা সাইফুলের ২য় স্ত্রী ও ফাইমারও ২য় স্বামী সাইফুল। বিয়ের বছর যেতে না যেতে তাদের মনোমালিন্যের কারণে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। সাইফুল তাকে দেনমোহর ও ধারের পাওনা টাকা বুঝিয়ে দেয়। গত তিন মাস আগে তাদের মধ্যে ফের সম্পর্ক স্থাপন হলে আবারো ফাইমাকে বিয়ে করে। সাইফুল ওই টাকা নেয়ার জন্য ফাইমাকে চাপ দেয়। তারপর থেকে দুজনের মধ্যে ঝগড়া ঝাটি লেগেই থাকে। ধারণা করা হচ্ছে, তার স্বামী গলায় কাপড় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার পর কম্বল দিয়ে ঢেকে রেখে ঘরের দরজায় তালা দিয়ে পালিয়ে যায়। বুধবার সকালে প্রতিবেশি রেবা খাতুন ওই ঘরের দূর্গন্ধ পেয়ে নিহতের বড় বোন রোজিনা বেগমকে বিষয়টি জানায়। তারা তালা ভেঙে ফাইমার লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে বগুড়া পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা, আদমদীঘি সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার কেএইচএম এরশাদ খান ও সান্তাহার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আনিছুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। বগুড়ার আদমদীঘি থানার ওসি জালাল উদ্দীন জানান, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে ওই গৃহবধূর স্বামী গলায় ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে তাকে হত্যা করে। তবে ময়না তদন্তের রিপোর্ট এলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। এঘটনায় তার স্বামী পলাতক রয়েছে।