রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা থানা এলাকার মেহের চন্ডি ও পদ্মা আবাসিক এলাকায় গত এক মাসে সংঘঠিত দুটি চাঞ্চল্যকর ছিনতাই মামলার প্রধান দুই আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
চন্দ্রিমা থানার ওসি মাহবুব জানান, সন্ধ্যায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ছিনতাই মামলার অন্যতম আসামি শিহাবকে গ্রেফতার করা হয়। তার নিকট থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল।
গ্রেফতারকৃত শিহাবের বাড়ি শিরোইল কলোনি হাজরা পুকুর এলাকায়। গত ১৬ জানুয়ারি রাত দশটার দিকে পদ্মা আবাসিক এলাকার দুই নম্বর সড়কে একজন স্কুল শিক্ষিকার মোবাইল ফোন ও টাকা সহ গুরুত্বপূর্ণ জিনিস ছিনতাই করে শিহাব সহ তার সহযোগীরা।
এর আগে চন্দ্রিমা থানা পুলিশ নগরীর অপর কুখ্যাত ছিনতাইকারী ইমনকে ভদ্রা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। এর নিকট থেকেও ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। ইমনের বাড়ি রাজপাড়া থানা এলাকার বহরমপুরে। ইমন গত ১৬ ডিসেম্বর বিকেলে মেহের চন্ডি এলাকায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষিকার মোবাইল ও টাকা ছিনতাই করে। শিক্ষিকার উপর হানা দেয়ার সময় উক্ত শিক্ষিকার স্বামী বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্যও তার সঙ্গে ছিলেন।
বেশ কিছুদিন থেকে রাজশাহী নগরজুড়ে একের পর এক ছিনতাই ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় নাগরিক জীবন চরম হুমকি গ্রস্থ হয়ে পড়ে। দিনে রাতে সব সময় রিকশা আরোহী নারীরা থাকেন সন্ত্রস্ত। সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন ও টাকা পয়সা নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারবেন কিনা এমন আতঙ্ক সর্বত্র। ইতিপূর্বে ছিনতাইকারীদের হাতে দুজন ছাত্র খুন হয়েছেন। আহত হয়েছেন অসংখ্য মানুষ।
একটি বিশেষ গোষ্ঠীর ছত্রছায়ায় এবং আশ্রয় প্রশ্রয়ে অধিকাংশ ছিনতাই এর ঘটনা ঘটায় সব ব্যাপারেই সাঁড়াশি তৎপরতা দেখাতে পুলিশকে বেগ পেতে হয়। এছাড়াও বেশকিছু ছিনতাই ঘটনা মামলা আকারে লিপিবদ্ধ না করে সাধারণ ডায়েরি কিংবা তদন্তের নামে অভিযোগ লিখে রাখা হয়। আর সেসব অভিযোগ কোনদিন আলোর মুখ দেখেনা। ভুক্তভোগী বিচার পাওয়া থেকে হন বঞ্চিত। পার পেয়ে যান ছিনতাইকারীরা। কেবলমাত্র ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কঠোর নির্দেশনা ও চাপ থাকলে সেসব ঘটনার সুস্ঠু তদন্ত হয়। গ্রেপ্তার হয় আসামি। মাঠ পর্যায়ে দায়সারা ভাব ও চৌকস তদন্তকারী অফিসারের সংকটের কারণে অনেক ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা অনুদঘাটিত থাকছে। ইতিপূর্বে বোয়ালিয়া থানা এলাকায় ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় একাধিক ছিনতাই এর ঘটনা ঘটলেও সেগুলো রহস্যের অক্টোপাসে বন্দি।