হালিম সৈকত,কুমিল্লা :
কুমিল্লার হোমনা উপজেলা যুব লীগের নব-নির্বাচিত সভাপতি খন্দকার মোঃ নজরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ কায়সার আহমেদ বেপাড়ীর উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় কানাডা থেকে আসা মেয়র প্রার্থী শাহ আজম বিটুসহ ৩০জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো.কায়সার আহমেদ বেপারী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করার পর ঘটনায় জড়িত মতিন মাস্টার ও মনির নামের ২জনকে গ্রেফতার করেছে হোমনা থানা পুলিশ।
মামলা ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গত ২২ডিসেম্বর মঙ্গলবার কুমিল্লা উত্তর জেলার হোমনা উপজেলা যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন কানাডা থেকে আসা শাহ আজম বিটু। তিনি হোমনা পৌর সভার মেয়র প্রার্থী হিসেবেও ব্যাপক প্রচারণা চালায় এবং স্থানীয় এমপি’র আস্থাভাজন পরিচয় দেয়। তবে সম্মেলন কাউন্সিলরদের বিপুল পরিমান ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয় মাথাভাঙ্গা ইউনিয়নের সাবেক তিন বারের সফল চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল বাচ্চু চেয়ারম্যানের সুযোগ্য দৌহিত্র মো. কায়সার আহমেদ বেপারী। আর বিপরীতে হেরে যায় শাহ আজম বিটু। এ ক্ষোভে তার সমর্থকরা তার নেতৃত্বে সম্মেলণে আসা অতিথিদের গাড়ী লক্ষ্য করে হামলা চালায়। এতে উপজেলা যুবলীগ সভাপতি খন্দকার মো. নজরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মো. কায়সার আহমেদ বেপারীসহ বেশকিছু নেতাকর্মী আহত হয়েছে। হামলা ৩-৪টি গাড়ী ভাংচুর হয়েছে উল্লেখ্য করে মোঃ কায়সার আহমেদ বেপাড়ী বাদি হয়ে শাহ আজম বিটুকে প্রধান আসামী করে ৩০ জনসহ আরো ৪০/৫০ জনকে অজ্ঞাত রেখে হোমনা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা ও গ্রেফতারের বিষয়টি মো. কায়সার আহমেদ সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন।