ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
পৌর শহরের অধিকাংশ রাস্তায় বড় বড় গর্ত। নর্দমার মধ্যে জমে থাকছে ময়লা পানি। অতিবৃষ্টিতে পানি উপচে পড়ছে রাস্তায়। ভাঙাচোরা নর্দমায় ঢাকনাও নেই। কোন কোন রাস্তার মোড়ে মোড়ে বর্জ্যের স্তুপ। কিছু কিছু রাস্তায় বৈদ্যুতিক বাতি না থাকায় সন্ধ্যার পরই নেমে আসে অন্ধকার।
পৌর এলাকার রাস্তাগুলোর কার্পেটিং ও ইট-খোয়া উঠে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এসব সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পৌরবাসীকে। পৌরসভার পাড়া-মহল্লার অন্তত ১৫/২০টি রাস্তা দীর্ঘদিন সংস্কার করা হয়নি। এর মধ্যে বেশির ভাগ রাস্তার পিচ ও ইট-খোয়া উঠে বহু গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এসব সড়কে নিত্যদিন চলাচলকারী ব্যক্তিদের পোহাতে হচ্ছে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ।
শহরের বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরে দেখা গেছে, ১২টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন মহল্লার রাস্তায় অনেক জায়গায় পিচ উঠে এবড়োখেবড়ো হয়ে গেছে। পূর্ব গোয়ালপাড়া এলাকায় ছোট-বড় অনেক গর্ত রয়েছে। এসব গর্তে বৃষ্টির পানি জমে আছে।
মুন্সিপাড়া থেকে সাধারণ পাঠাগার পর্যন্ত রাস্তার প্রায় পুরো অংশের পিচ ও ইট-খোয়া উঠে খানাখন্দে ভরে গেছে। দুই পাশ ভেঙে সংকুচিত হয়ে গেছে। এতে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে।
এ সম্পর্কে শাহপাড়ার বাসিন্দা শাহদাৎ হোসেন বলেন, পৌর নির্বাচনের আগে শহরের কিছু রাস্তার সংস্কার করা হয়। কিন্তু যেসব রাস্তা অনেক দিন থেকে ভেঙে আছে, সেগুলোর দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে না। এখন ইট-খোয়া উঠে এমন অবস্থা হয়েছে, এসব রাস্তায় রিকশাও চলতে চায় না।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শহরের পুরোনো কবরস্থানের পাশের রাস্তা, টিকিয়াপাড়া, গোয়ালপাড়া, নরেশ চৌহান সড়কের হলপাড়ার সংযোগ তিনটি রাস্তা, ঘোষপাড়া-সরকারপাড়ার চারটি রাস্তা, হাজিপাড়ার বড়মাঠ থেকে শিমুলতলার রাস্তা, আশ্রমপাড়া শিশুপার্ক থেকে মুন্সিপাড়া, চানমারীপাড়ার রাস্তার অবস্থাও খুব খারাপ। এসব রাস্তার কোথাও কোথাও পিচ উঠে গেছে, আবার কোথাও কোথাও সামান্য বৃষ্টিতে নর্দমার পানি রাস্তায় চলে আসে। মহল্লাবাসীকে সে সময় নোংরা, দুর্গন্ধযুক্ত পানি মাড়িয়ে চলাচল করতে হয়।
হাজিপাড়া মহল্লার বাসিন্দা রেজাউল হাফিজ রাহী বলেন, পৌরসভার অনেক রাস্তায় গর্তের কারণে রিকশা চালাতে খুব কষ্ট হয় চালকদের। অনেক সময় গর্তে পড়ে রিকশার ক্ষতিও হয়।‘নর্দমা উঁচু হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তাায় হাঁটুপানি জমে যায়। প্রতিবছর বর্ষাকালে আমাদের ভোগান্তির শেষ থাকে না।’
পৌরসভার সূত্রমতে, পৌরসভায় ৫৫ কিলোমিটার পাকা সড়ক রয়েছে। এসব সড়কের প্রায় ৩০ কিলোমিটার দ্রæত সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।
পৌর মেয়র মির্জা ফয়সল আমীন বলেন, প্রয়োজনীয়তা যাচাই করে এসব রাস্তা বাজেট পেলেই পর্যায়ক্রমে সংস্কার করা হবে।
ঠাকুরগাঁও পৌর এলাকার রাস্তাঘাটের বেহাল অবস্থা
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: পৌর শহরের অধিকাংশ রাস্তায় বড় বড় গর্ত। নর্দমার মধ্যে জমে থাকছে ময়লা পানি। অতিবৃষ্টিতে পানি উপচে পড়ছে রাস্তায়। ভাঙাচোরা নর্দমায় ঢাকনাও নেই। কোন কোন রাস্তার মোড়ে মোড়ে বর্জ্যের স্তুপ। কিছু কিছু রাস্তায় বৈদ্যুতিক বাতি না থাকায় সন্ধ্যার পরই নেমে আসে অন্ধকার।
পৌর এলাকার রাস্তাগুলোর কার্পেটিং ও ইট-খোয়া উঠে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এসব সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পৌরবাসীকে। পৌরসভার পাড়া-মহল্লার অন্তত ১৫/২০টি রাস্তা দীর্ঘদিন সংস্কার করা হয়নি। এর মধ্যে বেশির ভাগ রাস্তার পিচ ও ইট-খোয়া উঠে বহু গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এসব সড়কে নিত্যদিন চলাচলকারী ব্যক্তিদের পোহাতে হচ্ছে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ।
শহরের বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরে দেখা গেছে, ১২টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন মহল্লার রাস্তায় অনেক জায়গায় পিচ উঠে এবড়োখেবড়ো হয়ে গেছে। পূর্ব গোয়ালপাড়া এলাকায় ছোট-বড় অনেক গর্ত রয়েছে। এসব গর্তে বৃষ্টির পানি জমে আছে।
মুন্সিপাড়া থেকে সাধারণ পাঠাগার পর্যন্ত রাস্তার প্রায় পুরো অংশের পিচ ও ইট-খোয়া উঠে খানাখন্দে ভরে গেছে। দুই পাশ ভেঙে সংকুচিত হয়ে গেছে। এতে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে।
এ সম্পর্কে শাহপাড়ার বাসিন্দা শাহদাৎ হোসেন বলেন, পৌর নির্বাচনের আগে শহরের কিছু রাস্তার সংস্কার করা হয়। কিন্তু যেসব রাস্তা অনেক দিন থেকে ভেঙে আছে, সেগুলোর দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে না। এখন ইট-খোয়া উঠে এমন অবস্থা হয়েছে, এসব রাস্তায় রিকশাও চলতে চায় না।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শহরের পুরোনো কবরস্থানের পাশের রাস্তা, টিকিয়াপাড়া, গোয়ালপাড়া, নরেশ চৌহান সড়কের হলপাড়ার সংযোগ তিনটি রাস্তা, ঘোষপাড়া-সরকারপাড়ার চারটি রাস্তা, হাজিপাড়ার বড়মাঠ থেকে শিমুলতলার রাস্তা, আশ্রমপাড়া শিশুপার্ক থেকে মুন্সিপাড়া, চানমারীপাড়ার রাস্তার অবস্থাও খুব খারাপ। এসব রাস্তার কোথাও কোথাও পিচ উঠে গেছে, আবার কোথাও কোথাও সামান্য বৃষ্টিতে নর্দমার পানি রাস্তায় চলে আসে। মহল্লাবাসীকে সে সময় নোংরা, দুর্গন্ধযুক্ত পানি মাড়িয়ে চলাচল করতে হয়।
হাজিপাড়া মহল্লার বাসিন্দা রেজাউল হাফিজ রাহী বলেন, পৌরসভার অনেক রাস্তায় গর্তের কারণে রিকশা চালাতে খুব কষ্ট হয় চালকদের। অনেক সময় গর্তে পড়ে রিকশার ক্ষতিও হয়।‘নর্দমা উঁচু হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তাায় হাঁটুপানি জমে যায়। প্রতিবছর বর্ষাকালে আমাদের ভোগান্তির শেষ থাকে না।’
পৌরসভার সূত্রমতে, পৌরসভায় ৫৫ কিলোমিটার পাকা সড়ক রয়েছে। এসব সড়কের প্রায় ৩০ কিলোমিটার দ্রæত সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।
পৌর মেয়র মির্জা ফয়সল আমীন বলেন, প্রয়োজনীয়তা যাচাই করে এসব রাস্তা বাজেট পেলেই পর্যায়ক্রমে সংস্কার করা হবে।