স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ–
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ ও মহেশপুর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতিক নৌকার প্রার্থীরা বাদে সবাই জমানত হারিয়েছেন। এ দুই পৌরসভায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ মেয়র পদে চার চার আটজন প্রার্থী প্রতিদ্ব›দ্বীতা করেন। নির্বাচন কমিশনের নিয়মানুযায়ি একজন প্রার্থীকে বৈধ ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোট পেলে জমানত ফেরত পান। নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, কালীগঞ্জ পৌরসভায় মোট ভোট পড়েছে ২৬৮৩৯টি। নিয়ম অনুযায়ী জমানত বাঁচাতে হলে একজন প্রার্থীকে আট ভাগের এক ভাগ অর্থাৎ ৩৩৫৪ ভোট পেতে হবে। কিন্তু নৌকা প্রতিক নিয়ে আশরাফুল আলম আশরাফ পেয়েছেন ১৯৩২৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী বিএনপি দলীয় ধানের শীষের আলহাজ¦ মাহবুবার রহমান পেয়েছেন ৩০৭৪ ভোট, ইসলামি শাসনতন্ত্র আন্দোলনের হাতপাখার নুরুল ইসলাম পেয়েছেন ১৪৭১ এবং স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী নারিকেল গাছ প্রতিকের এনামুল হক ইমান পেয়েছেন ২৮১৬ ভোট। ফলে এখানে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী আশরাফুল আলম আশরাফ বাদে সবাই জমানত হারিয়েছেন। অন্যদিকে মহেশপুর পৌরসভা নির্বাচনে মোট ভোট পড়েছে ১৫৯৭৫। জমানত বাঁচাতে হলে একজন প্রার্থীকে আট ভাগের এক ভাগ অর্থাৎ ১৯৯৬ ভোট পেতে হবে। কিন্তু আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র আবদুর রশিদ খাঁন নৌকা প্রতিকে ভোট পেয়েছেন ১৩৫৯৮। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী বিনএপি মনোনিত ধানের শীষ প্রতিকের আমিরুল ইসলাম খাঁন চুন্নু পেয়েছেন ১০৫৫ ভোট, নারিকেল গাছ প্রতিক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাংবাদিক গোলাম মোস্তফা কিরণ পেয়েছেন ৯২২ ভোট ও ইসলামি শাসনতন্ত্র আন্দোলনের হাতপাখার তাহাবুর রহমান ভোট পান ৩৮৩। ফলে এখানে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী আবদুর রশিদ খাঁন বাদে সবাই জমানত হারিয়েছেন। যদিও তিনি কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেওয়া ও প্রসাশনের সহযোগীতায় জোর করে ভোট নেওয়াসহ নানা অভিযোগে দুপুরে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।