হালিম সৈকত, কুমিল্লা :
কুমিল্লার তিতাস উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়নের শাহপুর গ্রামের একাপাড়ায় সীমানা বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ৬ এপ্রিল বিকাল ৪ টায়
আঃ রশিদ মিয়া প্রতিপক্ষ রমজান আলীর পুত্রদের সাথে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে গুরুতর আহত হন মহিউদ্দিন (২৮), আলেহা (৩৫) ও বিলকিস বেগম (৫৫)।
১৪ জনকে এজহার নামীয় আসামী করে অজ্ঞাতনামা আরও ৩/৪ জনকে আসামি করে ৬/৪/২০২১খ্রি. তিতাস থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে আঃ রশিদ মিয়া। তিতাস থানার মামলা নং ০৬।
অপরদিকে খাদিজা আলী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন এজহার নামীয় ৬ জনকে আসামী করে একই থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। তিতাস থানার মামলা নং-০৭/ তাং ০৭/০৪/২০২১ খ্রি.।
আহত ৩ জনের অবস্থা সংকটাপন্ন। আহত মহিউদ্দিন ও আলেহা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও বিলকিস বেগম ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বর্তমানে একাপাড়ায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। উভয়পক্ষের মধ্যে বেশ উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় আবারও ঘটতে পারে অঘটন।
এলাকাবাসি ও সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উভয়পক্ষের মধ্যে পূর্ব থেকে জায়গা নিয়ে বিরোধ ও মামলা চলে আসছিলো। বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েক বার দরবার হলেও কোন মিমাংসায় আসতে পারেনি কেউই।
এবিষয়ে প্রথম পক্ষের খাদিজা আক্তার বলেন, ১৮মাস ধরে প্রতিবেশী রশিদ মিয়ার সাথে বাড়ির জায়গা নিয়ে আমাদের মতবিরোধ চলে আসছে এবং কোর্টে মামলা বিচারাধীন আছে।
আগামী ২৫ তারিখ মামলার শুনানি হওয়ার কথা । কিন্তু রশিদ মিয়া এর আগেই জোর পূর্বক বিল্ডিং তৈরির চেষ্টা করে। এতে আমরা বাঁধা দিলে আমাদের উপর তারা হামলা করে।
অপরদিকে দ্বিতীয় পক্ষের রশিদ মিয়ার দুই ছেলের বউ তুহিন ও শিরিন বলেন, আমরা তিনবার আদালতের রায় পেয়েছি তার পরও তারা আমাকে বাড়িতে কাজ করতে দিচ্ছে না। আমাদের বাড়িতে কোন পুরুষ ছিল না। সেই সুযোগে তাদের অনুপস্থিতিতে মহিলাদের উপর হামলা করে এবং বসত ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে।
জানা যায়, দীর্ঘদিন চলে আসা দুপক্ষের এই বিরোধ লাগিয়ে স্থানীয় কিছু মাতবর ফায়দা লুটছে। দুটি পক্ষ দুই দিকে ইন্ধন দিচ্ছে ।
এইদিকে তিতাস থানার তদন্ত কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, উভয়পক্ষই দুটি মামলা রুজু করেছে। আইন অনুযায়ী তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।