নেত্রকোণা প্রতিনিধি: নেত্রকোণায় জেলায় কোভিড-১৯ এর কারণে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ব্যাক্তি, বাউল শিল্পী, যাত্রাশিল্পীরা ঘরমুখো হয়ে পড়ায় তাদের আর্থিক স্বচ্ছলতা হ্রাস পেয়েছে। এ কারনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সদয় হয়ে দেশের ৬৪টি জেলায় এইসব কর্মহীন বেকার গুণিশিল্পীদের এককালীন ১০ হাজার টাকার করে আর্থিক প্রণোদনা দিয়েছেন। সারাদশের ন্যায় নেত্রকোণা জেলাট ১০টি উপজেলায় মোট ৫২ জনকে ১০ হাজার করে মোট ৫ লক্ষ ২০ হাজার টাকা প্রদান করেছে। এতে উচ্ছ্বাসিত নেত্রকোণার শিল্পীরা। তারা মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার এই প্রণোদনাকে সাদরে গ্রহণ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেেন। নেত্রকোণা জেলা শিল্পকলা একাডেমীর জেলা কালচারাল অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, দুঃস্থ শিল্পীদের সহায়তা করেছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। আমরা প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্দ্যেগকে আমরা সাধুবাদ জানাই। এখনো যারা প্রণোদনার আওতায় আসেনি, স্থানীয় সাংস্কৃতিক সংগঠনের সহায়তায় আরেকটি তালিকা প্রস্তুতের কাজ চলছে। বাংলাদেশ যাত্রা ফেডারেশনের নেত্রকোণা জেলা সভাপতি মির্জা আব্দুল কুদ্দুস ও সাধারণ সম্পাদক রফিক উদ্দিন আহম্মেদ জানান, অল্পসময়ে আমরা একটা তালিকা করে নেত্রকোণা জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে দিয়েছি। কাজেই যারা এবার বাদ পড়েছে তাদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই। আমরা আরো যাচাইবাচাই করে এরেকটি তালিকা করে জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে দিব, আশা করছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের এই অঞ্চলের শিল্পীদের প্রতি পূর্বের ন্যায় সদয় হবেন। নেত্রকোণার বিশষ্ট্য সাংস্কৃতিক সংগঠন শিকড় উন্নয়ন কর্মসূচীর সভাপতি আ খ ম রফিকুল ইসলাম আপেল বালেন, নেত্রকোণায় অনেক শিল্পী পেয়েছে এই প্রণোদনার অর্থ, তাতে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। এখনো পায়নি যারা এমন ৭০% শিল্পীকে পরর্তীতে এই সহায়তা পাওয়ার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। যারা নিরেট বাংলার সাংস্কৃতিকে ধারণ করেন, তারা শতভাগ অবহেলিত, তারা জীবীকার কণ্ঠ যোদ্ধা হিসেবে পরিচিত। স্থানীয় সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এআরএফবির চেয়ারম্যান জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক দিলওয়ার খান জানান, যাদেরকে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে তারাও প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞ আমরাও কৃতজ্ঞতা জানাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি। পাশাপাশি নেত্রকোণা জেলা শিল্পকলা একাডেমি ও নেত্রকোণা জেলা প্রশাসকের কাছে আমাদের দাবী এখনো জেলায় বহুসংখ্যক অসহায় দৃঃস্থ শিল্পী রয়েছেন যারা ভাতা ও প্রণোদনার আওতায় আসেনি। ভালো করে যাচাই করে প্রকৃত অসহায় শিল্পীদের হাতে যেন এই প্রণোদনা পৌঁছায় তার জোর দাবী জানাই।