নেত্রকোণা প্রতিনিধি: নেত্রকোণার কেন্দুয়া পৌরশহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তুচ্ছ বিষয় নিয়ে হামলা-ভাংচুরের ঘটনায় থানায় পাল্টা পাল্টি দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। মামলা দায়েরের পর উভয় পক্ষের চার জনকে গ্রেপ্তার করে শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) আদালতে সোপর্দ করেছে কেন্দুয়া থানা পুলিশ। কেন্দুয়া উপজেলার চিরাং ইউপির ছিলিমপুর গ্রামের বাসিন্দা রোকনুজ্জামান খান বাদী হয়ে শুক্রবার ১৯ জনের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করেন। ওই অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে আরো ১০/১৫ জন। আসামীরা হলো- কমলপুর গ্রামের আব্দুল আলী (৫৫),তার ছেলে নাসির (৩০),আকাশ াময়া (২০), একই গ্রামের আলমগীর (৩০), জাহাঙ্গীর (২২),রকি (২০),কাবিল মিয়া (৪০), বাশার (৩২), কাইয়ুম (২০),সোনাম মিয়া (৪২), গেদু মিয়া (৪৫),ফজলু মিয়া (৫৫), নজরুল (৩৫), মোবারক (২০),ইসমাঈল (৫৫), সুলতান মিয়া (২০), জিয়াউর রহমান (৩৬),আবু তাহের (৪০), নজরুল ইসলাম (৩২) ও অজ্ঞাত আসামী ১০/১৫ জন। বাদীর এজহার সুত্রে জানা যায়, গত ১৬ এপ্রিল বিকাল বেলায় নতুন বাসস্টেন্ডে ৬নং আসামী বাদীর বড় ভাই হারুন অর রশিদ খানের ওপর পানি ছুঁড়িয়া পরনের জামা-কাপড় ভিজিইয়া দেয়। এই বিয়ষটি নিয়ে কথার কাটাকাটি এক পর্যায়ে দেশীয় অস্ত্রাদি নিয়ে রোকনুজ্জামানের বাসাবাড়িতে হামলা-ভাংচুরসহ লুটপাটের ঘটনা ঘটায়। এসময় হামলাকারীরা ৭ লাখ এক হাজার ৫০০ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে বলে এজহারে বাদী উল্লেখ করেছেন। এছাড়াও আসামীদের মহল্লায় বাদী বাসাবাড়ি করে বসবাস করায় প্রায়ই বাদীর ওপর সন্ত্রাসী কায়দায় দৌরাত্ম প্রদর্শণ করে বলেও এজহারে বাদী উল্লেখ করেন। ১ নং আসামী আব্দুল আলী কেন্দুয়া সাব-রেজিস্ট্রিরী অফিসে অফিস সহায়ক এবং তার ছেলে নাসির কলমাকান্দা সাব-রেজিস্ট্রিরী অফিসে অফিস সহায়ক পদে কর্মরত। অপরদিকে একইদিন পৌরশহরের কমলপুর গ্রামের বাসিন্দা হীরণ মিয়া বাদী হয়ে ২১ জনের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করেন। ওই অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে আরো ৫০/৬০ জন। আসামীরা হলো-ছিলিমপুর গ্রামের মৃত আব্দুল কদ্দুছের ছেলে হারুন অর রশিদ খান (৫৫),রোকনুজ্জামান খান (৪৪),বজলুর রহমান খান(৫০),জাহাঙ্গীর খান (২৬),সিরাজ খান(৩৮), একই গ্রামের আঃ করিম খান(৬২), আবুল হাশেম ভূইয়া (৪০),আঃ হেলিম ভূঞা (৪৪),আঃ হেকিম ভূঞা (৪৪), খলিল ভূঞা (৩৫),ড্যানী (৪৯),জজ মিয়া (৪৮),আনিছ মিয়া (৩৪), সুমন (৩৭), হুমায়ুন (৪০), সঞ্জুর রহমান (৫০), হারেছ মিয়া (২৭),বদরুল (৩৮), জাহাঙ্গীর (৩৭),জহিরুল (৩২),সেলিম (৪০) ও অজ্ঞাত আরো ৫০/৬০ জন। বাদীর এজহার সুত্রে জানা যায়, গত ১৬ এপ্রিল বিকালে রকি মিয়া নামে একজন সিএনজি চালকের সাথে প্রধান আসামীর কথার কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে একটি বাস ভাংচুরসহ ১ ও ৩ নং স্বাক্ষীর বাড়িঘর ভাংচুরসহ ৪ লাখ ২৯ হাজার ২০০ টাকার মালামাল লুটপাট করে নিয়ে হামলাকারীরা। মামলা দায়েরের পর ছিলিমপুর গ্রামের আঃ হেকিম ভূঞাকে এবং কমলপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর,কাবিল মিয়া ও সোনাম মিয়া গ্রেপ্তার করে শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) আদালতে সোপর্দ করেছে কেন্দুয়া থানা পুলিশ। কেন্দুয়া থানা ওসি কাজী শাহনেওয়াজ বলেন, মামলা দায়ের পর উভয় পক্ষে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেপ্তার করতে এলাকায় অভিযান চালানো হচ্ছে।