নেত্রকোণা -ময়মনসিংহ মহাসড়কে সাকুয়া বিজিবি ক্যাম্প থেকে বাগড়া বাজার পর্যন্ত মহাসড়কে টিতে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও বাজার রয়েছে।
এখানে বেশ কয়েকটি টার্নিং থাকায় প্রায় ২ কিলোমিটার মহাসড়ক বিপদজনক হয়ে পড়েছে এই অংশটুকু সংরক্ষণের আওতায় আনা না হলে বড় রকমের দুর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা৷
খোঁজ নিয়ে জানা যায় এ ব্যাপারে গত ২০১০ সালের ১৩ মে বৃহস্পতিবার স্থানীয় জনগণ উক্ত রাস্তাটিতে সংরক্ষিত এলাকা ও রোড সেফটির জন্য এলাকাবাসী তৎকালীন নেত্রকোণা জেলা প্রশাসক বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেছিল।
দাবীকৃত সংরক্ষিত এলাকায় চল্লিশা বাজার থেকে পারলা পৌরসভার গেট পর্যন্ত মহাসড়কের দুই পাশে গড়ে উঠেছে বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান উচ্চ বিদ্যালয় কলেজ সহ শিল্পনগরী এলাকা।
উল্লেখযোগ্য হলো চল্লিশা মুক্তার হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়, প্রাথমিক বিদ্যালয়, চল্লিশা কেন্দ্রীয় হাফিজিয়া মাদ্রাসা, হেনা ইসলাম কলেজ, আকিজ বিড়ি ফ্যাক্টরী, সরকারি সারের গোডাউন, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, পিডিবি অফিস, সাকুয়া বাজার, নন্দীপুর কারিগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, যুব ভবন, ব্রাক অফিস, বিজিবি ক্যাম্প সহ অনেক স্থাপনা। সহরের উপকণ্ঠে এই ২ কিলোমিটার মহাসড়ক প্রচুর পরিমাণ মানুষের সমাগম এবং কর্মব্যস্ত থাকে।
রোড সেফটিক নিয়ে কাজ করে এমন একটি স্থানীয় সংগঠন আব্দুর রহমান ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ (এআরএফবি) এর চেয়ারম্যান জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক দিলওয়ার খান আমাদের জানান, ব্যাস্ততম দুই কিলোমিটার এই রাস্থাটিতে অসংখ্য টার্নিং (মোড়) থাকায় মহাসড়টিতে ভারি যানচলাচল অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছে। গেল ২০০৮ সাল থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত বৃহৎ দূর্ঘটনার শিকার হয়ে পুলিশসহ অন্তত ২৫ জনের প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটেছে।
তিনি আরও বলেন, নিত্যদিন তো টুকিটাকি দূর্ঘটনা ঘটেই চলছে। বিশেষ করে বাজার টার্নিং (মোড়) এলাকায় সাধারণ জনগণ চলাচলের মারাত্মক বিগ্ন ঘটছে। এই এলাকায় নিরাপত্তা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
২০১২ সালে সড়ক ও জনপথ এবং স্থানীয় সংগঠন এআরএফবির যৌথ সমন্বয়ে সতর্কীকরণ বিলবোর্ড ও স্পীড ব্রেকার স্থাপন করে দূর্ঘটনার হার আশানুরূপ কমে গিয়েছিল।
আমরা দাবি করছি উক্ত ২কিলোমিটার টার্নিং পয়েন্টে সড়ক নিরাপত্তার জন্য রেম্বল, স্পীড ব্রেকার ও সতর্কীকরণ বিলবোর্ড স্থাপন করে নিরাপদ সড়ক উপহার দিতে দাবী জানাই।
বিশিষ্ট সাংবাদিক ও রাজনীতিক কবি এমদাদ খান বলেন, রাস্তার এই অংশটুকু শহরে প্রবেশ মুখ হিসেবে সৌন্দর্য বর্ধন করার জোর দাবি জানাচ্ছি।
হিমাংশু কুমার দেবনাথ ও চন্দননাথ চৌধুরী বলেন, উক্ত গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কের সংরক্ষিত এলাকা ও উপশহর ঘোষণা করার দাবি করছি।