ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের ৩০ কিলোমিটারে ধীরগতিতে চলছে গাড়ি। বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব সড়ক থেকে নাটিয়াপাড়া পযর্ন্ত এমন অবস্থা দেখা যায়।
এদিকে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে এ মহাসড়কের এলেঙ্গা, পৌলী, রসূলপুর, রাবনা বাইপাস ও আশেকপুর এলাকায় যানবাহন থামিয়ে রাখছেন পুলিশ সদস্যরা এ অভিযোগ চালক ও যাত্রীদের। মঙ্গলবার (২০ জুলাই) ভোর থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু সড়কে এমন চিত্র দেখা যায়।
জয়পুরহাটগামী একটি বাসের চালক মতিন বলেন, এ সড়কের তারটিয়া থেকে রাবনা বাইপাস পযর্ন্ত আসতে সবোর্চ্চ ১০ মিনিট লাগে। সেখানে পুলিশের সিগনালে পড়ে এ রাস্তা পার হতে সময় লাগলো প্রায় ১ ঘণ্টা। কখন সেতু পার হবো, আর জয়পুরহাট পৌঁছাবো- তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছি।
বাসযাত্রী পোশাক শ্রমিক রহিমা বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে সন্তান নিয়ে রওনা হয়েছি জয়পুরহাটের উদ্দেশে। সকাল ১১টা বাজে কেবল টাঙ্গাইল পর্যন্ত আসতে পেরেছি। এতোটুকু সড়ক আসতেই বাচ্চা নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছি। সামনে কী হবে?- জানি না।
মহাসড়কের রাবনা বাইপাসে কর্মরত উপ-পরিদর্শক (এসআই) জালাল বলেন, মহাসড়কে প্রচুর গাড়ির চাপ রয়েছে। ভোরে সড়কের কিছু কিছু এলাকায় যানবাহনের ত্রুটির কারণে জটের সৃষ্টি হলেও এখন যানচলাচল করছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানচলাচল স্বাভাবিক হবে।
পুলিশ জানায়, ঈদে যানজট নিরসনে মহাসড়কে ৬০৩ জন পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া দুই শতাধিক হাইওয়ে পুলিশ সড়কে রয়েছেন।