নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়ন এর ৯ নং ওয়ার্ডের সাহিদা বেগম ও তার স্বামী সামছুল হক সহ দুই সন্তান নিয়ে দীর্ঘ বছর যাবত তিস্তা নদীর স্বপন বাঁধ সংলগ্ন কিনারে অতি কষ্টে তাবুর ছাউনির উপজেলার বসবাস করে আসছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় সাহিদা বেগমের স্বামী সামছুল হক একজন দিন মুজুর। পাড়া প্রতিবাসীর বিত্তবান ব্যক্তি বর্গের বাড়ির কাজ কর্ম করে তার পরিবারের ভরণপোষণের ব্যবস্থা করেন। সারাদিন অন্যের বাড়িতে কাজ কর্ম শেষে সন্ধায় ফিরে আসে তার তাবুর ছাউনি ঘরে। বলা বাহুল্য যে সাহিদা বেগমের স্বামী সামছুল হক এর এককাটা জমি নেই, একটি থাকার ঘর ও নেই। শুধু কোন মতে বাঁধের ধারে তাবু ছাউনি দিয়ে বসবাস করে আসছেন।
সাহিদা বেগম ও তার স্বামী সামছুল হক জানান, বিগত দূর্যোগ সহনশীল সাধারণ কোঠার ঘর ও ভিজিটি কার্ড এর বিষয় টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান মইনুল হক এর কাছে গেলে তিনি বলেন, ঘর নেই- কার্ড ফুরিয়ে গেছে। তখন নিরুপায় হয়ে তাবুর ছাউনি ঘরে ফিরে আসি। তিনি আরও বলেন, অত্র ইউনিয়নে আমার মত অসহায় গরীব পরিবাররা সহনশীল ঘর পাচ্ছে না। কিন্তু এলাকার যারা বৃত্তবান ব্যাক্তি তারাই ঘর পেয়েছে।
এমতাবস্থায় সাহিদা বেগমের তাবু ছাউনি ঘরের চিত্র সংবাদ কর্মীর ফেইসবুকের মাধ্যমে দেখে ডিমলা উপজেলার সু- দক্ষ নির্বাহী অফিসার জয়শ্রী রানী রায় সাহিদা বেগমের বাসস্থানের ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রকাশ করেন।
এম জি আর এ